ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের ঘোষণা
- By Jamini Roy --
- 16 October, 2024
অন্তর্বর্তী সরকার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা প্রজ্ঞা নিউজকে এই সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কোন দিবসগুলো বাতিল হচ্ছে?
ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের এক সাম্প্রতিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করে এসব দিবস বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। যেসব জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলো হলো:
-
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মরণে পালন করা হয় এই দিনটি। -
১৭ মার্চ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস এবং জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। -
৫ আগস্ট
শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী। -
৮ আগস্ট
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী। -
১৫ আগস্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। -
১৮ অক্টোবর
শেখ রাসেল দিবস—শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের স্মরণে। -
৪ নভেম্বর
জাতীয় সংবিধান দিবস। -
১২ ডিসেম্বর
স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।
সরকারের ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয় যে উপদেষ্টা পরিষদ আটটি জাতীয় দিবস বাতিলের বিষয়টি বিবেচনা করে সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পোস্টে আরও জানানো হয়েছে, শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৭ মার্চ এবং ১৫ আগস্টের মতো ঐতিহাসিক দিবসগুলো বাতিলের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে। অনেকে মনে করছেন, এসব দিবস দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য এবং এর প্রভাব নিয়ে শিগগিরই আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।